ঢাকা,সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

টেকনাফে আরএসও নেতা জঙ্গি সালাউলসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা

taknaf sanগিয়াস উদ্দিন ভুলু, টেকনাফ  :::

টেকনাফে নিষিদ্ধ ঘোষিত (আরএসও) জঙ্গিনেতা হাফেজ সালাউল প্রধান আসামী করে আরএসও নেতাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের সন্ত্রাস বিরোধী আইন (সংশোধনী/১৩) এর ৬/২)/৭/১৪ ধারা মোতাবেক মামলা রুজু করা হয়। উক্ত মামলায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তারা হচ্ছে, ১নং আসামী হাফেজ সালাউল, ২নং আসামী মৌলভী সৈয়দ করিম, ৩নং আসামী টাঙ্গাইল এলাকার মৌলভী ইব্রাহীমসহ আরো ৮ জনকে এজাহার নামিয় পলাতক আসামী করা হয়। পলাতক ৮ আসামীদের মধ্যে টেকনাফ উপজেলার ভাইস-চেয়ারম্যান মৌলভী রফিক উদ্দিন ও তার ভাই বাহারছড়া ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান মৌলভী আজিজ অন্যতম। উল্লেখিত এজাহারে আরো জানা যায়, গত ৩০ জুলাই পুলিশ, বিজিবি, টাস্কফোর্স সদস্যদের অভিযানে সু-কৌশলে পালিয়ে যায়া এই দুই সহোদরসহ বেশ কয়েকজন লোক বাংলাদেশে অখন্ডতা, জন নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন, জনসাধারণের মধ্যে আতস্ক সৃষ্টির উদ্দেশ্যে হত্যা, গরুতর জখম ও অপহরনসহ রাষ্ট্রের সম্পত্তির ক্ষতি সাধন তথা সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য গোপনে ষড়যন্ত্রমূলক বৈঠক করার সময় প্রশাসনের উর্দ্ধতন কতৃপক্ষকে অবহিত করিয়া যৌথ টাস্কফোর্স গঠন করে অভিযান পরিচালনা করা হয়। উক্ত ঘটনাস্থল থেকে  সৌদি নাগরিকসহ ৪জন আটক হলেও বাকিরা সু-কৌশলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

এব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল মজিদ বলেন, বিজিবি সদস্য হাবিলদার বাবুল মিয়া বাদি হয়ে আটককৃত ৩ জন ও এজাহার নামিয় আরো ৮জনকে পলাতক আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছে। যার মামলা নং (৮৮) আটককৃত তিনজনকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। আদালত শুনানী শেষে আসামীদের বিরুদ্ধে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে। তিনি আরো বলে, মামলার পলাতক আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
…………………………………..
 টেকনাফ পুলিশের অভিযানে মানব পাচার মামলার দুই আসামী আটক

গিয়াস উদ্দিন ভুলু , টেকনাফ

টেকনাফে পুলিশ সদস্যদের বিশেষ অভিযানে দুই মানব পাচারকারি আটক। পুলিশ সুত্রে জানা যায়, গতকাল ভোররাত ৩ টার দিকে মডেল থানার এ এস আই কাজী আবদুল মালেকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ টেকনাফ সদর ইউনিয়নের কচুবনিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে মানব পাচার মামলার দুই পলাতক আসামীকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে। আটককৃতরা হচ্ছে, কচুবনিয়া এলাকার মৃত ছিদ্দিক আহম্মদের পুত্র হোসেন আহম্মদ, (৩৫) একই এলাকার মোজাহের মিয়ার পুত্র মো: ইসলাম (৩৮)

এব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল মজিদ সংবাদে সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আটককৃত দুই ব্যক্তি ২০১৪সালের মানব পাচার মামলার পলাতক আসামী যার মামলা নং জি আর ৬৫৬/১৪ দীর্ঘ দিন পলাতক থাকার পর অবশেষে পুলিশ সদস্যদের হাতে আটক হয়। তাদেরকে উক্ত মামলায় আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।

পাঠকের মতামত: